Google Adsense বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন Google এর একটি Advertising প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে উপার্জনের জন্য একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে। মূলত: Google এ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের Ad আপনার সাইটে প্রদর্শিত হবে। ভিজিটররা আপনার সাইটে ঢুকে এসব বিজ্ঞাপনে click করলে আপনার উপার্জন হবে।
অনলাইনে উপার্জনের যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে ব্লগিং হচ্ছে সবচেয়ে স্থায়ী ও মজবুত মাধ্যম। ব্লগিং এর সাথে Google Adsense এর একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এজন্য যারা Google Adsense এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান তাদের ব্লগিং সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা থাকা প্রয়োজন। প্রধানত: ব্লগিং সাইটের জন্যই Google তার Adsense প্রোগ্রামটি চালু করেছে।
ইন্টারনেটে রয়েছে হাজার হাজার ডলারের কাজ। উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে। ফিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনিমেশন, ওয়েব ডিজাইন, কপিরাইটিং, প্রোগ্রামিং এমনকি ডাটা এন্ট্রির মত সাধারন কাজ। বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সাইট রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়ার জন্য। এসব সাইটে ফ্রি
রেজিস্ট্রেশন করে আপনিও হতে পারেন একজন ফ্রিল্যান্সার।
বর্তমানে যতগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে, তার মধ্যে ওডেস্ক হচ্ছে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য সাইট। সাইটটি বায়ার ও ফ্রিল্যান্সার উভয়ের কাছেই সর্বাধিক জনপ্রিয়। ফলে বর্তমানে সাইটটিতে কাজ করছে প্রায় ১ লক্ষেরও উপরে ফ্রিল্যান্সার। সাইটটিতে ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স, ওয়েব ডিজাইন, আর্টিক্যাল রাইটিং, Seo, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি হাজারো প্রকারের কাজ রয়েছে।
আজকে আপনাদের সামনে এমন একটি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বলব, যেখানে কাজ পেতে কোন বিড করতে হয় না। যে কোন মূহু্র্তে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। উপরোন্ত, উক্ত সাইটে সাইন আপ করলেই পাবেন ১ ডলার। সাইটটির নাম www.microworkers.com, এটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটি সাইট। বাংলাদেশের অনেকেই এ সাইটে সফলতার সাথে কাজ করে হাতে টাকা পেয়েছে।
বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে যতগুলো আয়ের পন্থা সম্পর্কে আমরা জেনেছি, এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং তাদের মধ্যে অন্যতম। ভাল মানের একজন ব্লগার এ মাধ্যম থেকে প্রচুর পরিমান অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম। এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে Amazon বেশ ভাল মানের এবং নির্ভরযোগ্য একটি সাইট।
Google Adsense বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন Google এর একটি Advertising program। এর মাধ্যমে উপার্জনের জন্য একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে। ফ্রি ওয়েব সাইটের মাধ্যমেও Google Adsense ব্যবহার করে উপার্জন করা সম্ভব। Google Adsense যদিও বহুদিন পূর্ব থেকেই সমগ্র বিশ্বে একটি নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদী উপার্জনের পদ্ধতি হিসাবে স্বীকৃত, কিন্তু বাংলাদেশে বিষয়টি অনেকের কাছেই নুতন। প্রথমদিকে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের আইটি জগতে একটা হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল। টাকা উপার্জনের জন্য অনেকেই নিজস্ব ওয়েবসাইট কিনে অথবা ফ্রি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেব্যবহার করেছে Adsense,
Google Adsense এর মূল প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে না বুঝার কারনে অনেকের Adsense একাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যারা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে তারা ঠিকই উপার্জন করছে।
মূল বিষয় হচ্ছে, Google Adsense এর মাধ্যমে যে কোন ধরনের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে উপার্জন সম্ভব। শর্ত হচ্ছে, সাইটকে জনপ্রিয় করতে হবে। সাইটে প্রচুর ভিজিটর ঢুকতে হবে, ভাল contents থাকতে হবে। ভিজিটর একবার সাইটে প্রবেশ করে পুনরায় প্রবেশ করার আগ্রহ থাকে এ ধরনের contents প্রতিনিয়ত আপডেট রাখতে হবে। সাইটে ভিজিটর প্রবেশ করানো এবং তাদেরকে ধরে রাখতে পারলে ভিজিটরদের একটি অংশ স্বাভাবিকভাবেই Google এর বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। মনে রাখতে হবে, যত বেশি ভিজিটর আপনার সাইটে থাকবে তত আপনার উপার্জনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে। আমি হিসাব করে দেখেছি, প্রতিদিন গড়ে ১০০০ ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করলে গড়ে ১০% ভিজিটর Google প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে। এতে গড়ে প্রতিদিন ১০ ডলার উপার্জন হবে। অর্থাৎ মাসে ৩০০ ডলার বা ২০০০০ টাকা উপার্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র একটি মানসন্মত ওয়েব সাইটের মাধ্যমে। একটি সাইট হতে এ ধরনের উপার্জন শুরু হয়ে গেলে ভিন্ন বিষয়ের উপর আরো সাইট আপনি তৈরি করতে পারবেন। অনলাইন উপার্জনের এক বিশাল দ্বার উন্মোচিত হবে আপনার জন্য। প্রয়োজন শুধু পরিশ্রম করার মানসিকতা। ভাবতে পারেন, ক্লিক করলেই যেহেতু ডলার তাহলে চিন্তা কি, সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে শুধু ক্লিক আর ক্লিক.........! Google কি এতই বোকা! বিজ্ঞাপনদাতারা কি এতই বোকা! ক্লিক করলেই টাকা দিবে! না, Fake Click করলে Google তার একাউন্ট বন্ধ করে দিবে। Original ক্লিক করলেই শুধু ডলার জমবে। তাহলে Original ক্লিক কোনটি, যার মাধ্যমে ডলার পাওয়া যাবে? সে কথাই আসছি, যেহেতু সাইটের বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে Google বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, সেহেতু ভিজিটর যদি সাইটের contents দেখার পাশাপাশি Google Ad এ ক্লিক করে উক্ত বিজ্ঞাপনদাতার সাইটে স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করে (এক্ষেত্রে ভিজিটর কিন্তু fake ক্লিক করেনি, বড়ং তার নিজস্ব আগ্রহে উক্ত বিজ্ঞাপন দাতার সাইটে প্রবেশ করেছে) তবেই হবে Original ক্লিক। এ ধরনের স্বাভাবিক ক্লিক করলেই আপনার উপার্জন হবে। Google তার Adsense প্রোগ্রামের জন্য এমন টেকনোলজি ব্যবহার করেছে যে কেও fake ক্লিক করলে তা ধরে ফেলতে সক্ষম। অতএব, এ ধরনের অসাধু চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে, Google Adsense একটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা। এর পুঁজি হচ্ছে, আপনার ব্লগিং পরিকল্পনা ও সঠিকভাবে তার ব্যবহার। নগদ মূলধন বলতে শুধুমাত্র একটি পিসি আর ডোমেইন/হোস্টিং এর জন্য মাত্র ২/৩ হাজার টাকা। সঠিকভাবে ব্লগিং করতে পারলে, পর্যাপ্ত ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করাতে পারলে মাসে হাজার ডলার উপার্জন করা সম্ভব-এটা কল্পনা নয়, বাস্তব।
পরিশ্রম করে একটা ভালমানের ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারলে আর ভিজিটর বাড়ানোর সব কৌশল প্রয়োগ করতে পারলে আপনাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আপনি ঘুমিয়ে থাকবেন আর আপনার একাউন্টে ডলার জমতে থাকবে। সত্যি অভাবনীয়!
যারা Google Adsense ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদী উপার্জন করতে চান তাদের জন্য নিচে কতিপয় গাইডলাইন প্রদত্ত হল।
১. যে ধরনের ব্লগিং সাইট করতে চান, তা ভেবে চিন্তে নির্বাচন করুন। অর্থাৎ যেসব সাইটে ভিজিটর বেশি প্রবেশ করে সে ধরনের সাইট তৈরি করুন।
২.সাধারণত শিক্ষামূলক (কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয়সহ অন্যান্য শিক্ষা), সাধারণ জ্ঞান, খেলাধুলা, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত, ফিটনেস টিপস্, ইত্যাদি বিষয়ের সাইটে ভিজিটর বেশি হয়ে থাকে। এ ধরনের ভালমানের সাইটকে ফলো করে আপনিও অনুরুপ ব্লগিং সাইট তৈরি করতে পারেন।
৩. প্রথমেই টাকা উপার্জনের চিন্তা মাথায় না এনে যথেষ্ট সময় নিয়ে সাইটকে সমৃদ্ধ করতে চেষ্টা করুন।
৪. কখনোই কোন সাইটের contents কপি করে আপনার সাইটে পোস্ট করবেন না। অবশ্য ভাল কোন ব্লগিং সাইটকে অনুকরণ করে নুতন আর্টিক্যাল, টিউটোরিয়াল, টিপস্, ইত্যাদি পোস্ট করতে পারেন।
৫. সাইট পরিপূর্ণভাবে তৈরি হলে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য মনোযোগী হোন। এক্ষেত্রে Seo এর প্রাথমিক বিষয়গুলো প্রয়োগ করুন। ( ব্যাকলিংক তৈরি, ফোরামে পোস্ট, বুকমার্কিং ইত্যাদি)
৬. সবশেষে Google Adsense এর জন্য apply করুন।
Google Adsense বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন Google এর একটি Advertising প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে উপার্জনের জন্য একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে। মূলত: Google এ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের Ad আপনার সাইটে প্রদর্শিত হবে। ভিজিটররা আপনার সাইটে ঢুকে এসব বিজ্ঞাপনে click করলে আপনার উপার্জন হবে। যারা প্রতিদিন ২/৩ ঘন্টা পরিশ্রম করে Blogging করতে পারবেন, তাদের জন্য উপার্জনের এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী ও ফলপ্রসু পদ্ধতি। Freelancing ইন্টারনেটে রয়েছে হাজার হাজার ডলারের কাজ। উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে। ফিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনিমেশন, ওয়েব ডিজাইন, কপিরাইটিং, প্রোগ্রামিং এমনকি ডাটা এন্ট্রির মত সাধারন কাজ।
বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সাইট রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়ার জন্য। এসব সাইটে ফ্রি
রেজিস্ট্রেশন করে আপনিও হতে পারেন একজন ফ্রিল্যান্সার। Microworkers Bid (আবেদন) না করেও যে কোন মূহুর্তে শুধুমাত্র ফ্রি-রেজিস্ট্রেশন করে ডাটা এন্ট্রি ও ওয়েব সাইট মার্কেটিং এর কাজ করে অর্থ উপার্জনের অসাধারণ একটি মার্কেটপ্লেস. অত্যন্ত সহজ, কম সময় ও ছোট ছোট কাজ হওয়ায় নতুন ফ্রিল্যান্সাররা সহজেই এ সাইটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। Sales Marketplace of Web Template, Graphics,
Animation, & Video footage গ্রাফিক্স ও ওয়েব ডিজাইনে যারা দক্ষ তারা বিভিন্ন দৃষ্টিন্দন গ্রাফিক্সের কাজ যেমন, লোগো, Business Card, ব্যানার, ওয়েব টেমপ্লেট বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারেন। Graphics Competition গ্রাফিক্স প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উপার্জনের জন্য রয়েছে অভাবনীয় সুযোগ।
অনলাইনে উপার্জনের যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে ব্লগিং হচ্ছে সবচেয়ে স্থায়ী ও মজবুত মাধ্যম। ব্লগিং এর সাথে Google Adsense এর একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এজন্য যারা Google Adsense এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান তাদের ব্লগিং সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা থাকা প্রয়োজন। প্রধানত: ব্লগিং সাইটের জন্যই Google তার Adsense প্রোগ্রামটি চালু করেছে। Google Adsense সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
ভার্চুয়াল জগতে একটি ব্লগিং সাইট পৃথিবীর বুকে এক টুকরো জমির চেয়েও মূল্যবান হতে পারে। একটি মানসন্মত ব্লগিং সাইটে যে কতভাবে উপার্জন হতে পারে-তা সত্যি কল্পনাতীত।
Google Adsense এর মাধ্যমে, প্রাইভেট এ্যাড এর মাধ্যমে, এ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে, এমন অনেক সাইট রয়েছে, যারা একটি Pr-1,2,3 সাইটে তাদের লিংক সংযোজনের বিনিময়ে অর্থ প্রদান করে। এ ধরনের বহুমূখী উপার্জনের রাস্তা খুলে যায় একটি মানসন্মত ব্লগিং সাইটের জন্য।
ব্লগিং কি?
এবার আসি ব্লগিং বলতে আমরা কি বুঝি। সাধারণভাবে ব্লগিং বলতে কোন সেবা বা সার্ভিস প্রদানকে বুঝায়। বিশ্বে সেবা প্রদানের অসংখ্য বিষয় রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি ব্লগিং করতে পারেন। আমি একবার ঠান্ডাজনিত একটি সমস্যা সমাধানের জন্য Google এ সার্চ দিয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি সাইটে প্রবেশ করে দেখলাম-শুধু ঠান্ডাজনিত নয়, অনেক ধরনের রোগ, তার কারণ, সমাধান বিস্তারিতভাবে বর্ণনা দিয়েছে-সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এই যে তারা একটি সার্ভিস দিচ্ছে-এটাই ব্লগিং। আবার একবার একটি গ্রিটিংস কার্ড প্রয়োজন হওয়ায় Free Greetings card দিয়ে সার্চ দেওয়ায় কয়েক হাজার সাইট পেলাম। যারা বিভিন্ন ধরনের গ্রিটিংস কার্ড (যেমন: Birthday, Wedding, Friendship, invitation card ইত্যাদি) বিনামূল্যে সরবরাহ করছে। এটা এক ধরনের ব্লগিং। গ্রাফিক্স ডিজাইন ,ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য সার্চ দিন, দেখবেন-হাজার হাজার সাইট রয়েছে, সম্পূর্ণ ফ্রি টিউটোরিয়াল দিচ্ছে এসব সাইট। এটা ব্লগিং। লক্ষ্য করলে দেখবেন, এসব সাইটের অধিকাংশই ব্যবহার করছে Google Adsense.
ব্লগিং কে পেশা হিসাবে নিবেন কেন?
১. ব্লগিং এ আয়ের কোন সীমা নেই। চাকুরিতে বেতন পাবেন ১০ অথবা ২০ হাজার। কিন্তু আপনার মেধা, শ্রম ঢেলে খুব দ্রুত গড়ে তুলতে পারেন আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার। আপনার মাসিক আয় হতে পারে ১ হাজার ডলার, ২, ৩ বা তারও উপরে। আপনার কাজই নির্ধারণ করবে আপনার আয়ের অংক।
২. আপনি ব্যবসা করবেন, প্রয়োজন হবে বিশাল পুঁজি। রয়েছে পদে পদে ঝুঁকি, আপনি সর্বশান্ত হতে পারেন। অন্যদিকে ব্লগিং এর জন্য প্রয়োজন মাত্র একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত পিসি, ডোমেইন/হোস্টিং কেনার জন্য ২/৩ হাজার টাকা আর আপনার ব্লগিং পরিকল্পনা।
৩. পৃথিবীর যতগুলো স্বাধীন পেশা রয়েছে, তার মধ্যে ব্লগিং অন্যতম। কখনো কাজ করতে মনে চাচ্ছে না, ঘুমিয়ে পরলেন। কোথাও হতে বেড়িয়ে আসলেন। কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবে না।
৪. ব্লগিং একটি Flexible পেশা। যে কেও, যে কোন সময়, যে কোন স্থানে বসে ব্লগিং করতে পারে। একজন ছাত্র তার পড়াশোনার পাশাপাশি, একজন চাকুরিজীবি তার চাকুরির পাশাপাশি, একজন গৃহিণী তার কাজের পাশাপাশি ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
আপনি কি ব্লগিং করতে পারবেন?
আপনি যদি ইংরেজিতে ২/৩ লাইন লিখতে পারেন। তাহলে আপনিও ব্লগিং করতে পারবেন। অথবা, বিষয়বস্তুকে সুবিন্যস্তভাবে সাজাতে পারেন, তাহলে আপনিও ব্লগিং করতে পারবেন। আমি একবার আমার এক রিলেটিভের নবজাতকের একটি নাম জানার জন্য সার্চ দিয়ে দেখলাম এমন অনেক সাইট রয়েছে, যারা শুধুমাত্র নবজাতকের সুন্দর ও অর্থবহ নাম দিয়ে সার্ভিস দিচ্ছে। এটা কি ব্লগিং না? এখানে তো আর্টিক্যাল লেখার কিছু নেই। একই নাম একাধিক অনেক সাইটে দেখলাম। শুধুমাত্র নামগুলোকে এক একজন এক এক স্টাইলে সাজিয়েছে। আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম-এসব সাইটেও তারা Google Adsense ব্যবহার করেছে।
আপনাকে যদি বলা হয়, একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ব্লগ সাইট করার জন্য, আপনি কি এ সম্পর্কিত ভাল মানের একাধিক সাইটকে ফলো করে, উক্ত সাইটের তথ্যাদি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, প্রয়োজনে বাজার হতে এ বিষয়ক বই সংগ্রহ করে নিজের মত কিছু লিখতে পারবেন না? আপনি অন্তত সাধারণ জ্ঞানের জন্য প্রশ্নোত্তর টাইপের ব্লগিং নিশ্চয়ই করতে পারবেন। তাহলে সাধারন জ্ঞান বিষয়ক একটি সাইট করুন না! এ বিষয়ক সাইটগুলো ভিজিট করুন। তাদের তথ্যকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আপনি লিখে পোস্ট করুন। আপনি তো তাদের তথ্য কপি/পেস্ট করতে যাচ্ছেন না! আসলে, প্রচেস্টা থাকলে আপনার ব্লগের উপকরণ ইন্টারনেটেই ছরিয়ে আছে। এসব যদি পারেন, তবে আপনিও অবশ্যই ব্লগিং করতে পারবেন।
টেকনিক্যাল জ্ঞান
ব্লগিং সাইট তৈরি, প্রতিনিয়ত আপডেট, রক্ষনাবেক্ষণের জন্য আপনাকে অব্শ্যই ওয়েব সাইট ডিজাইন ও ডেভলেপমেন্ট জানতে হবে। সাধারণ মানের একটি সাইট করতে Html, Css, javascript শিখলেই হবে। কিন্তু, প্রফেশনাল মানের একটি সাইট করতে, বিশেষত ডাইনামিক সাইট তৈরি করতে Php/mysql, Joomla, Wordpress শিখতে হবে। এ সম্পর্কিত জ্ঞানের জন্য আমাদের বিভিন্ন টিউটোরিয়াল প্যাকেজ রয়েছে।
সাইট তৈরি, এবার প্রচারে নামুন
সাইট তৈরি হওয়ার পরে আপনাকে ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য মনোযোগী হতে হবে। এজন্য seo এর বিক্ল্প নেই। এজন্য seo এর প্রাথমিক বিষয়গুলো (যেমন: ব্যাকলিংক, ফোরাম পোস্টিং, বুকমার্ক, ফেসবুক ইত্যাদি) প্রয়োগ করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার সাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতঃপর Google Adsense এর জন্য আবেদন করুন। সাইট তথ্যসমৃদ্ধ হলে অবশ্যই Google Adsense এ্যাপ্রুভ হবে ইনশাল্লাহ্। আপনার ব্লগ সাইট পরিচিতি হবে, Page Rank বাড়তে থাকবে, অর্থ উপার্জনের বহুমূখী সোর্স হবে আপনার ব্লগ সাইট।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন