ফ্রিল্যান্সিং করে কাজ করার কথা আমরা অনেকেই শুনেছি কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে নতুন ফ্রিল্যান্সার হলে সফলতা পেতে কিছু সময় লাগে । কারণ, এসব সাইটে একটি কাজের জন্য অনেকেই বিড/। বায়ার শুধুমাত্র একজনকে নির্বাচিত করেন। এক্ষেত্রে নুতন ফ্রিল্যান্সারদের কাজ পেতে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়। অনেকে ধৈর্য হারিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ছেরে দেন। (অবশ্য সঠিক গাইডলাইন ও আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে এসব সাইটেও সফল হওয়া সম্ভব) অনেকেই আবার মনে মনে ভাবেন ইস, যদি বিড ছাড়াই কাজ পাওয়া যেত ! হ্যাঁ, আজকে আপনাদের সামনে এমনই একটি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বলব, যেখানে কাজ পেতে কোন বিড করতে হয় না। যে কোন মূহু্র্তে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। উপরোন্ত, উক্ত সাইটে সাইন আপ করলেই পাবেন ১ ডলার। সাইটটির নাম www.microworkers.com, এটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটি সাইট। বাংলাদেশের অনেকেই এ সাইটে সফলতার সাথে কাজ করে হাতে টাকা পেয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সাইটে কাজ করছি। সাইটে আমার বেশকিছু ডলারও জমা হয়েছে।
সাইটের কাজগুলো ছোট ছোট ও খুবই সহজ। ডাটা এন্ট্রি টাইপের কাজ। খুবই অল্প সময়ে আপনি উপার্জন করতে পারেন ভাল পরিমান কিছু অর্থ, যা আপনাকে লক্ষ লক্ষ টাকা এনে দিতে না পারলেও যারা নুতন ফ্রিল্যান্সার, এখনও কম্পিউটারের বিভিন্ন কোর্সে পরিপূর্ণ দক্ষ হতে পারেননি, তারা অনলাইন আয়ের জগতে কিছুটা পদচারণা শুরু করতে পারেন । আর এখানে মোটামুটি পরিশ্রম করলেই আপনার সফলতার সম্ভাবনা .........
নিয়মাবলী:
১. একটি কাজ মাত্র একবার করতে পারবেন, তবে প্রতিদিন পাবেন নতুন নতুন অনেক কাজ।
২. প্রতিটি কাজের সাথে দেয়া থাকবে নির্ধারিত সময়, যে সময়ের মধ্যেই আপনার কাজকে সমাপ্ত করতে হবে।
৩. প্রথমে ৫টি কাজ করে আপনার সফলতা যদি ৭৫% এর নিচে থাকে তবে আপনি ১-৩০ দিনের মধ্যে কাজ করতে পারবেন না।
৪. আয়ের পরিমান ৯ ডলার পূর্ন হলেই চেক, মানিবুকার্স, পেপাল এবং এলার্টপে এর মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। এক্ষেত্রে গুগল এ্যাডসেন্সের মত আপনার ঠিকানাকে প্রথমে ভেরিফাই করা হবে একটি পিন নম্বর পাঠানোর এর মাধ্যমে। যা পরবর্তীতে সাইটে জমা দিতে হবে।
৫. টাকা উত্তোলনের সময় চেকের ক্ষেত্রে ৪.৫০ ডলার, পেপালের ক্ষেত্রে ৬%, মানিবুকার্স এবং এলার্টপে পদ্ধতিতে ৬.৫% ফি দিতে হয়।
৬. সাইটে যে কাজ করবে সে Worker এবং যে কাজ দিবে তাকে Employer হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
৭. সাইটে কাজ করতে প্রথমে আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করে করতে হবে।
কার্যাবলী:
১. লগইন করে সাইটে প্রবেশ করুন।
২. যদি আপনি নতুন ইউজার হন তবে নিউ বাটনে ক্লিক করে নতুনদের জন্য নির্ধারিত কাজগুলো ওপেন করুন।
৩. কাজের বিস্তারিত বর্ননা দেখতে নিচের কাজগুলো থেকে যেকোন একটি কাজে ক্লিক করুন।
৪. এখানে পূর্বে কত জন কাজটি নিয়েছে, কাজটি করতে কত সময় লাগবে, কাজটি সফলভাবে করতে পারলে কত পরিশোধ করা হবে, ইত্যাদি সম্পর্কে শুরুর দিকে বলা হয়েছে।
৫. কিভাবে কাজটি করতে হবে এ সম্পর্কে পুরো ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে “What is expected from workers?” অংশে। মূলত এখানে কাজের বিস্তারিত বর্ননা করা হয়েছে, যা ভালভাবে বুঝে কাজটি সমাপ্ত করতে পারব এরকম মনে হলে “I accept this job ” নিচের অপশনে ক্লিক এর মাধ্যমে কাজটি নেয়া যাবে। “I accept this job” এখানে ক্লিক করলে একটি ঘর পাওয়া যাবে যেখান কাজের সত্যতার প্রমান সাবমিট করতে হবে। আর এই সত্যতার প্রমান দিতে হবে Employer এর ইচ্ছে অনুযায়ী, যেটি সে জানিয়ে দিয়েছে “Required proof that task was finished?” এই অংশে। কাজটি করতে পারব না এমন মনে হলে Not interested in this job ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।
কাজের ধরন:
1. Signup: এ কাজটি অত্যন্ত সহজ একটি কাজ। এখানে একটি সাইটের ঠিকানা দেয়া থাকবে সেখানে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। ব্যাস কাজ শেষ, তবে আমাদের দেশে বেশিরভাগ শেয়ারিং আইপি ব্যবহৃত হয় বলে কাজটি সমাপ্ত করতে সমস্যা হতে পারে। আপনার আইপি দেখে নিন।
2. Twitter: টুইটারে যদি আপনার একটি একাউন্ট থাকে তবে আপনি এক্ষেত্রে কাজ করতে পারবেন। হতে পারে আপনার টুইটার পেজে একটি রিভিউ লিখতে হবে । পাশাপাশি তাদের একটি লিংকও রিভিউ এর মধ্যে দিতে হতে পারে। তবে সবটাই নির্ভর করবে Employer এর চাহিদার ওপর।
3. Blog/Website Owners: আপনার যদি একটি নিজস্ব ওয়েব সাইট থাকে এবং আপনি যদি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর article লেখার জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন তবে আপনি এ কাজটি খুব সহজেই করতে পারবেন। আর একটি ৫০ শব্দের আর্টিকেল লিখে পেতে পারেন $0.25 – $0.80 ডলার।
4. Textlink required: এ কাজটি করতেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজস্ব ওয়েব সাইট দরকার হয়ে থাকে। তবে কাজটি অত্যন্ত সহজ। Employer এর চাহিদা অনুযায়ী আপনার সাইটে একটি লিংক ব্যবহার করলেই কাজ শেষ। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ Employer PR1 কিংবা তার ওপরে অবস্থানকৃত সাইট চায়। দেখে নিন আপনার সাইটের পেজ র্যাংক
5. Yahoo Answers: ইয়াহু এর একটি সাইট হচ্ছে ইয়াহু এ্যান্সার। এখানে বিভিন্ন প্রশ্নের এ্যান্সার করে লেভেলকে বৃদ্ধি করা যায়। সাধারনত Employer এ কাজের জন্য লেভেল টু আছে এমন ব্যক্তিদের খোঁজ করে। এখানে প্রশ্নের answer এর মধ্যে Employer এর নির্দিষ্ট লিংক দিতে বলা হয়।
৬. Forums: এক্ষেত্রে একটি ফোরাম সাইট খুঁজে বের করতে হবে। তবে সাইটের বিষয়বস্তু অবশ্যই Employer বলে দিবে। এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে তাদের একটি লিংক Signature হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি কিছু কমেন্টও লিখতে হতে পারে।
পরামর্শ:
১. একটি কম্পিউউটার থেকে একটি একাউন্ট করাটাই ভাল।
২. কখনো ৫টি কাজে সফলতার হার ৭৫% এর নিচে নেমে গেলে দু-চার দিন অপেক্ষা করে আবার চেষ্টা করা যেতে পারে।
৩. যে সকল কাজে আইপি এড্রেস দিতে হয় বা এক আইপি থেকে দুবার ব্যবহার করা যাবে না সে সব কাজ না করাই ভাল যেমন: sign up। কারন, আমাদের দেশে টেলিকম এর মাধ্যমে ব্যবহৃত ইন্টারনেট এর আইপি শেয়ারিং করা হয়ে থাকে।
উপরের সকল বিষয়গুলো ভালভাবে বিবেচনা করে যদি কাজ শুরু করেন তবে অবশ্যই একটা ভাল ফলাফল পাবেন ইনশাল্লাহ।
Google Adsense বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন Google এর একটি Advertising প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে উপার্জনের জন্য একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে। মূলত: Google এ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের Ad আপনার সাইটে প্রদর্শিত হবে। ভিজিটররা আপনার সাইটে ঢুকে এসব বিজ্ঞাপনে click করলে আপনার উপার্জন হবে।
অনলাইনে উপার্জনের যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে ব্লগিং হচ্ছে সবচেয়ে স্থায়ী ও মজবুত মাধ্যম। ব্লগিং এর সাথে Google Adsense এর একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এজন্য যারা Google Adsense এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান তাদের ব্লগিং সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা থাকা প্রয়োজন। প্রধানত: ব্লগিং সাইটের জন্যই Google তার Adsense প্রোগ্রামটি চালু করেছে।
Freelancing
ইন্টারনেটে রয়েছে হাজার হাজার ডলারের কাজ। উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে। ফিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, এনিমেশন, ওয়েব ডিজাইন, কপিরাইটিং, প্রোগ্রামিং এমনকি ডাটা এন্ট্রির মত সাধারন কাজ। বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সাইট রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দেয়ার জন্য। এসব সাইটে ফ্রি
রেজিস্ট্রেশন করে আপনিও হতে পারেন একজন ফ্রিল্যান্সার।
Freelancing(oDESK)
বর্তমানে যতগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে, তার মধ্যে ওডেস্ক হচ্ছে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য সাইট। সাইটটি বায়ার ও ফ্রিল্যান্সার উভয়ের কাছেই সর্বাধিক জনপ্রিয়। ফলে বর্তমানে সাইটটিতে কাজ করছে প্রায় ১ লক্ষেরও উপরে ফ্রিল্যান্সার। সাইটটিতে ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স, ওয়েব ডিজাইন, আর্টিক্যাল রাইটিং, Seo, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি হাজারো প্রকারের কাজ রয়েছে।
Microworkers
আজকে আপনাদের সামনে এমন একটি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বলব, যেখানে কাজ পেতে কোন বিড করতে হয় না। যে কোন মূহু্র্তে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। উপরোন্ত, উক্ত সাইটে সাইন আপ করলেই পাবেন ১ ডলার। সাইটটির নাম www.microworkers.com, এটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটি সাইট। বাংলাদেশের অনেকেই এ সাইটে সফলতার সাথে কাজ করে হাতে টাকা পেয়েছে।
Affiliate Marketing
বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে যতগুলো আয়ের পন্থা সম্পর্কে আমরা জেনেছি, এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং তাদের মধ্যে অন্যতম। ভাল মানের একজন ব্লগার এ মাধ্যম থেকে প্রচুর পরিমান অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম। এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে Amazon বেশ ভাল মানের এবং নির্ভরযোগ্য একটি সাইট।
Google Adsense বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন Google এর একটি Advertising program। এর মাধ্যমে উপার্জনের জন্য একটি ওয়েব সাইট থাকতে হবে। ফ্রি ওয়েব সাইটের মাধ্যমেও Google Adsense ব্যবহার করে উপার্জন করা সম্ভব। Google Adsense যদিও বহুদিন পূর্ব থেকেই সমগ্র বিশ্বে একটি নির্ভরযোগ্য ও দীর্ঘমেয়াদী উপার্জনের পদ্ধতি হিসাবে স্বীকৃত, কিন্তু বাংলাদেশে বিষয়টি অনেকের কাছেই নুতন। প্রথমদিকে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের আইটি জগতে একটা হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল। টাকা উপার্জনের জন্য অনেকেই নিজস্ব ওয়েবসাইট কিনে অথবা ফ্রি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেব্যবহার করেছে Adsense,
Google Adsense এর মূল প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে না বুঝার কারনে অনেকের Adsense একাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু যারা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে তারা ঠিকই উপার্জন করছে।
মূল বিষয় হচ্ছে, Google Adsense এর মাধ্যমে যে কোন ধরনের ওয়েব সাইটের মাধ্যমে উপার্জন সম্ভব। শর্ত হচ্ছে, সাইটকে জনপ্রিয় করতে হবে। সাইটে প্রচুর ভিজিটর ঢুকতে হবে, ভাল contents থাকতে হবে। ভিজিটর একবার সাইটে প্রবেশ করে পুনরায় প্রবেশ করার আগ্রহ থাকে এ ধরনের contents প্রতিনিয়ত আপডেট রাখতে হবে। সাইটে ভিজিটর প্রবেশ করানো এবং তাদেরকে ধরে রাখতে পারলে ভিজিটরদের একটি অংশ স্বাভাবিকভাবেই Google এর বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। মনে রাখতে হবে, যত বেশি ভিজিটর আপনার সাইটে থাকবে তত আপনার উপার্জনের পরিমান বৃদ্ধি পাবে। আমি হিসাব করে দেখেছি, প্রতিদিন গড়ে ১০০০ ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করলে গড়ে ১০% ভিজিটর Google প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে। এতে গড়ে প্রতিদিন ১০ ডলার উপার্জন হবে। অর্থাৎ মাসে ৩০০ ডলার বা ২০০০০ টাকা উপার্জন করা সম্ভব শুধুমাত্র একটি মানসন্মত ওয়েব সাইটের মাধ্যমে। একটি সাইট হতে এ ধরনের উপার্জন শুরু হয়ে গেলে ভিন্ন বিষয়ের উপর আরো সাইট আপনি তৈরি করতে পারবেন। অনলাইন উপার্জনের এক বিশাল দ্বার উন্মোচিত হবে আপনার জন্য। প্রয়োজন শুধু পরিশ্রম করার মানসিকতা। ভাবতে পারেন, ক্লিক করলেই যেহেতু ডলার তাহলে চিন্তা কি, সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে শুধু ক্লিক আর ক্লিক.........! Google কি এতই বোকা! বিজ্ঞাপনদাতারা কি এতই বোকা! ক্লিক করলেই টাকা দিবে! না, Fake Click করলে Google তার একাউন্ট বন্ধ করে দিবে। Original ক্লিক করলেই শুধু ডলার জমবে। তাহলে Original ক্লিক কোনটি, যার মাধ্যমে ডলার পাওয়া যাবে? সে কথাই আসছি, যেহেতু সাইটের বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে Google বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, সেহেতু ভিজিটর যদি সাইটের contents দেখার পাশাপাশি Google Ad এ ক্লিক করে উক্ত বিজ্ঞাপনদাতার সাইটে স্বাভাবিকভাবে প্রবেশ করে (এক্ষেত্রে ভিজিটর কিন্তু fake ক্লিক করেনি, বড়ং তার নিজস্ব আগ্রহে উক্ত বিজ্ঞাপন দাতার সাইটে প্রবেশ করেছে) তবেই হবে Original ক্লিক। এ ধরনের স্বাভাবিক ক্লিক করলেই আপনার উপার্জন হবে। Google তার Adsense প্রোগ্রামের জন্য এমন টেকনোলজি ব্যবহার করেছে যে কেও fake ক্লিক করলে তা ধরে ফেলতে সক্ষম। অতএব, এ ধরনের অসাধু চিন্তা মাথা থেকে ঝেরে ফেলতে হবে। মনে রাখতে হবে, Google Adsense একটি দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসা। এর পুঁজি হচ্ছে, আপনার ব্লগিং পরিকল্পনা ও সঠিকভাবে তার ব্যবহার। নগদ মূলধন বলতে শুধুমাত্র একটি পিসি আর ডোমেইন/হোস্টিং এর জন্য মাত্র ২/৩ হাজার টাকা। সঠিকভাবে ব্লগিং করতে পারলে, পর্যাপ্ত ভিজিটর সাইটে প্রবেশ করাতে পারলে মাসে হাজার ডলার উপার্জন করা সম্ভব-এটা কল্পনা নয়, বাস্তব।
পরিশ্রম করে একটা ভালমানের ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারলে আর ভিজিটর বাড়ানোর সব কৌশল প্রয়োগ করতে পারলে আপনাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আপনি ঘুমিয়ে থাকবেন আর আপনার একাউন্টে ডলার জমতে থাকবে। সত্যি অভাবনীয়!
ভিজিটর বাড়ানোর কৌশল জানতে আমাদের প্রকাশিত
যারা Google Adsense ব্যবহার করে দীর্ঘমেয়াদী উপার্জন করতে চান তাদের জন্য নিচে কতিপয় গাইডলাইন প্রদত্ত হল।
১. যে ধরনের ব্লগিং সাইট করতে চান, তা ভেবে চিন্তে নির্বাচন করুন। অর্থাৎ যেসব সাইটে ভিজিটর বেশি প্রবেশ করে সে ধরনের সাইট তৈরি করুন। ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন। এছারা, ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
২.সাধারণত শিক্ষামূলক (কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয়সহ অন্যান্য শিক্ষা), সাধারণ জ্ঞান, খেলাধুলা, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত, ফিটনেস টিপস্, ইত্যাদি বিষয়ের সাইটে ভিজিটর বেশি হয়ে থাকে। এ ধরনের ভালমানের সাইটকে ফলো করে আপনিও অনুরুপ ব্লগিং সাইট তৈরি করতে পারেন।
৩. প্রথমেই টাকা উপার্জনের চিন্তা মাথায় না এনে যথেষ্ট সময় নিয়ে সাইটকে সমৃদ্ধ করতে চেষ্টা করুন।
৪. কখনোই কোন সাইটের contents কপি করে আপনার সাইটে পোস্ট করবেন না। অবশ্য ভাল কোন ব্লগিং সাইটকে অনুকরণ করে নুতন আর্টিক্যাল, টিউটোরিয়াল, টিপস্, ইত্যাদি পোস্ট করতে পারেন।
৫. সাইট পরিপূর্ণভাবে তৈরি হলে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য মনোযোগী হোন। এক্ষেত্রে Seo এর প্রাথমিক বিষয়গুলো প্রয়োগ করুন। ( ব্যাকলিংক তৈরি, ফোরামে পোস্ট, বুকমার্কিং ইত্যাদি)
৬. সবশেষে Google Adsense এর জন্য apply করুন।
In this article you can know what is the blogging, how to creating blogging site, how to earn money by blogging. Actually, Blogging is the best & long term earnings way. in this article i will tell a comprehensive guide of Blogging.
অনলাইনে উপার্জনের যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে ব্লগিং হচ্ছে সবচেয়ে স্থায়ী ও মজবুত মাধ্যম। ব্লগিং এর সাথে Google Adsense এর একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এজন্য যারা Google Adsense এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে চান তাদের ব্লগিং সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা থাকা প্রয়োজন। প্রধানত: ব্লগিং সাইটের জন্যই Google তার Adsense প্রোগ্রামটি চালু করেছে। ভার্চুয়াল জগতে একটি ব্লগিং সাইট পৃথিবীর বুকে এক টুকরো জমির চেয়েও মূল্যবান হতে পারে। একটি মানসন্মত ব্লগিং সাইটে যে কতভাবে উপার্জন হতে পারে-তা সত্যি কল্পনাতীত।
Google Adsense এর মাধ্যমে, প্রাইভেট এ্যাড এর মাধ্যমে, এ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে, এমন অনেক সাইট রয়েছে, যারা একটি Pr-1,2,3 সাইটে তাদের লিংক সংযোজনের বিনিময়ে অর্থ প্রদান করে। এ ধরনের বহুমূখী উপার্জনের রাস্তা খুলে যায় একটি মানসন্মত ব্লগিং সাইটের জন্য।
ব্লগিং কি?
এবার আসি ব্লগিং বলতে আমরা কি বুঝি। সাধারণভাবে ব্লগিং বলতে কোন সেবা বা সার্ভিস প্রদানকে বুঝায়। বিশ্বে সেবা প্রদানের অসংখ্য বিষয় রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি ব্লগিং করতে পারেন। আমি একবার ঠান্ডাজনিত একটি সমস্যা সমাধানের জন্য Google এ সার্চ দিয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি সাইটে প্রবেশ করে দেখলাম-শুধু ঠান্ডাজনিত নয়, অনেক ধরনের রোগ, তার কারণ, সমাধান বিস্তারিতভাবে বর্ণনা দিয়েছে-সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এই যে তারা একটি সার্ভিস দিচ্ছে-এটাই ব্লগিং। আবার একবার একটি গ্রিটিংস কার্ড প্রয়োজন হওয়ায় Free Greetings card দিয়ে সার্চ দেওয়ায় কয়েক হাজার সাইট পেলাম। যারা বিভিন্ন ধরনের গ্রিটিংস কার্ড (যেমন: Birthday, Wedding, Friendship, invitation card ইত্যাদি) বিনামূল্যে সরবরাহ করছে। এটা এক ধরনের ব্লগিং। গ্রাফিক্স ডিজাইন ,ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য সার্চ দিন, দেখবেন-হাজার হাজার সাইট রয়েছে, সম্পূর্ণ ফ্রি টিউটোরিয়াল দিচ্ছে এসব সাইট। এটা ব্লগিং। লক্ষ্য করলে দেখবেন, এসব সাইটের অধিকাংশই ব্যবহার করছে Google Adsense.
ব্লগিং কে পেশা হিসাবে নিবেন কেন?
১. ব্লগিং এ আয়ের কোন সীমা নেই। চাকুরিতে বেতন পাবেন ১০ অথবা ২০ হাজার। কিন্তু আপনার মেধা, শ্রম ঢেলে খুব দ্রুত গড়ে তুলতে পারেন আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার। আপনার মাসিক আয় হতে পারে ১ হাজার ডলার, ২, ৩ বা তারও উপরে। আপনার কাজই নির্ধারণ করবে আপনার আয়ের অংক।
২. আপনি ব্যবসা করবেন, প্রয়োজন হবে বিশাল পুঁজি। রয়েছে পদে পদে ঝুঁকি, আপনি সর্বশান্ত হতে পারেন। অন্যদিকে ব্লগিং এর জন্য প্রয়োজন মাত্র একটি ইন্টারনেট সংযুক্ত পিসি, ডোমেইন/হোস্টিং কেনার জন্য ২/৩ হাজার টাকা আর আপনার ব্লগিং পরিকল্পনা।
৩. পৃথিবীর যতগুলো স্বাধীন পেশা রয়েছে, তার মধ্যে ব্লগিং অন্যতম। কখনো কাজ করতে মনে চাচ্ছে না, ঘুমিয়ে পরলেন। কোথাও হতে বেড়িয়ে আসলেন। কারো কাছে জবাবদিহি করতে হবে না।
৪. ব্লগিং একটি Flexible পেশা। যে কেও, যে কোন সময়, যে কোন স্থানে বসে ব্লগিং করতে পারে। একজন ছাত্র তার পড়াশোনার পাশাপাশি, একজন চাকুরিজীবি তার চাকুরির পাশাপাশি, একজন গৃহিণী তার কাজের পাশাপাশি ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
আপনি কি ব্লগিং করতে পারবেন?
আপনি যদি ইংরেজিতে ২/৩ লাইন লিখতে পারেন। তাহলে আপনিও ব্লগিং করতে পারবেন। অথবা, বিষয়বস্তুকে সুবিন্যস্তভাবে সাজাতে পারেন, তাহলে আপনিও ব্লগিং করতে পারবেন। আমি একবার আমার এক রিলেটিভের নবজাতকের একটি নাম জানার জন্য সার্চ দিয়ে দেখলাম এমন অনেক সাইট রয়েছে, যারা শুধুমাত্র নবজাতকের সুন্দর ও অর্থবহ নাম দিয়ে সার্ভিস দিচ্ছে। এটা কি ব্লগিং না? এখানে তো আর্টিক্যাল লেখার কিছু নেই। একই নাম একাধিক অনেক সাইটে দেখলাম। শুধুমাত্র নামগুলোকে এক একজন এক এক স্টাইলে সাজিয়েছে। আমি আশ্চর্য হয়ে দেখলাম-এসব সাইটেও তারা Google Adsense ব্যবহার করেছে।
আপনাকে যদি বলা হয়, একটি স্বাস্থ্যবিষয়ক ব্লগ সাইট করার জন্য, আপনি কি এ সম্পর্কিত ভাল মানের একাধিক সাইটকে ফলো করে, উক্ত সাইটের তথ্যাদি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে, প্রয়োজনে বাজার হতে এ বিষয়ক বই সংগ্রহ করে নিজের মত কিছু লিখতে পারবেন না? আপনি অন্তত সাধারণ জ্ঞানের জন্য প্রশ্নোত্তর টাইপের ব্লগিং নিশ্চয়ই করতে পারবেন। তাহলে সাধারন জ্ঞান বিষয়ক একটি সাইট করুন না! এ বিষয়ক সাইটগুলো ভিজিট করুন। তাদের তথ্যকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আপনি লিখে পোস্ট করুন। আপনি তো তাদের তথ্য কপি/পেস্ট করতে যাচ্ছেন না! আসলে, প্রচেস্টা থাকলে আপনার ব্লগের উপকরণ ইন্টারনেটেই ছরিয়ে আছে। এসব যদি পারেন, তবে আপনিও অবশ্যই ব্লগিং করতে পারবেন।
টেকনিক্যাল জ্ঞান
ব্লগিং সাইট তৈরি, প্রতিনিয়ত আপডেট, রক্ষনাবেক্ষণের জন্য আপনাকে অব্শ্যই ওয়েব সাইট ডিজাইন ও ডেভলেপমেন্ট জানতে হবে। সাধারণ মানের একটি সাইট করতে Html, Css, javascript শিখলেই হবে। কিন্তু, প্রফেশনাল মানের একটি সাইট করতে, বিশেষত ডাইনামিক সাইট তৈরি করতে Php/mysql, Joomla, Wordpress শিখতে হবে। এ সম্পর্কিত জ্ঞানের জন্য আমাদের বিভিন্ন টিউটোরিয়াল প্যাকেজ রয়েছে।
সাইট তৈরি, এবার প্রচারে নামুন
সাইট তৈরি হওয়ার পরে আপনাকে ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য মনোযোগী হতে হবে। এজন্য seo এর বিক্ল্প নেই। এজন্য seo এর প্রাথমিক বিষয়গুলো (যেমন: ব্যাকলিংক, ফোরাম পোস্টিং, বুকমার্ক, ফেসবুক ইত্যাদি) প্রয়োগ করুন। দেখবেন ধীরে ধীরে আপনার সাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতঃপর Google Adsense এর জন্য আবেদন করুন। সাইট তথ্যসমৃদ্ধ হলে অবশ্যই Google Adsense এ্যাপ্রুভ হবে ইনশাল্লাহ্। আপনার ব্লগ সাইট পরিচিতি হবে, Page Rank বাড়তে থাকবে, অর্থ উপার্জনের বহুমূখী সোর্স হবে আপনার ব্লগ সাইট।
Odesk-Career in Freelancing
Hello valued visitor, in this article you can know about top freelancing marketplace odesk. this is reliable freelancing site around the world. This site is very effective to earn money by freelancing of freelancer. Bangladeshi freelancer fit for this site. Huge bangladeshi freelancer work here already with satisfaction.বর্তমানে যতগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে, তার মধ্যে ওডেস্ক হচ্ছে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য সাইট। সাইটটি বায়ার ও ফ্রিল্যান্সার উভয়ের কাছেই সর্বাধিক জনপ্রিয়। ফলে বর্তমানে সাইটটিতে কাজ করছে প্রায় ১ লক্ষেরও উপরে ফ্রিল্যান্সার। সাইটটিতে ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স, ওয়েব ডিজাইন, আর্টিক্যাল রাইটিং, Seo, প্রোগ্রামিং ইত্যাদি হাজারো প্রকারের কাজ রয়েছে।
১. সাইটটিতে 'নির্দ্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য' এবং 'ঘন্টা হিসাবে মূল্য (Hourly job)' উভয় প্রকার কাজ রয়েছে। তবে ঘন্টা হিসাবে কাজের জন্য ওডেস্ক বেশি জনপ্রিয়। এ পদ্ধতিতে ফ্রিল্যান্সাররা অন্য সাইট হতে তুলনামূলক বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারে। এ সিস্টেমে ইন্টারনেটে উপস্থিত থেকে একটি বিশেষ সফটওয়্যারের (Teamviewer) মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারকে কাজ করতে হয়। এ সময় একজন ফ্রিল্যান্সার কি কাজ করছেন তার স্ক্রীনশট বায়ারের কাছে চলে যায়। ফলে বায়ার তার কাজের প্রতিনিয়ত আপডেট পেতে থাকে।
২. সাইটটিতে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দেয়ার মাধ্যমে প্রোফাইল বিল্ডিং এর সুবিধা। ফলে সত্যিকার অর্থেই যারা নির্দ্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ও ভাল বাজেটের কাজ পেয়ে থাকে।
৩. অধিকাংশ কাজের ক্ষেত্রে এসক্রো সিস্টেমের (কাজের শুরুতেই বায়ার সাইটে টাকা জমা দিয়ে থাকে) কারনে ফ্রিল্যান্সারদের কাছে কাজ শেষে টাকা পাওয়ার ১০০% নিশ্চয়তা থাকে।
৪. যেহেতু এ সাইটে অন্যান্য সাইটের মত যে কেও বিড (আবেদন) করতে পারে না, অর্থাৎ, এ সাইটে কাজ করতে গেলে নুন্যতম রেডিনেস টেস্ট দিতে হয় এবং বিভিন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে ১০০% প্রোফাইল সম্পন্ন না হলে পর্যাপ্ত বিড করতে পারে না, এসব কারনে বায়ারদের কাছে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সাইট এটি। ফলে বিশ্বে যতগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইট রয়েছে, তন্মধ্যে, ওডেস্কে সর্বাধিক কাজ জমা হয়। বড়ং বলা যায়, সবগুলো সাইটে যে পরিমাণ কাজ জমা হয়, শুধুমাত্র ওডেস্কেই সে পরিমাণ কাজ জমা হয়। ফলে, বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের জন্য একটু সিরিয়াস হলেই এ সাইটে কাজ পাওয়া সম্ভব।
আশার কথা, বর্তমানে বাংলাদেশে যত ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে তন্মধ্যে, ওডেস্কেই সর্বাধিক। তুলনামূলক কম রেট, বিশ্বস্ততা ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সাররা ভাল অবস্থানেই রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং-এ যারা নুতন তারা ওডেস্কে কাজের মাধ্যমে তাদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। প্রথমদিকে কাজ পেতে কিছুটা বেগ পেতে হলেও প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট হলে এবং ধৈর্যের সাথে লেগে থাকলে অবশ্যই এ সাইটে সফলতা পাওয়া সম্ভব। অনেক বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার রয়েছে, যারা শুরুতে কাজ পেতে কিছু বিলম্ব হলেও বর্তমানে টিম নিয়ে কাজ করছে। Odesk সাইটে বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল দেখলেই বিষয়টি অনুধাবন করা যায়।
পেমেন্ট সিস্টেমঃ
পাইওনার ডেবিট কার্ড, মানিবুকার্স, ব্যাংকওয়্যার ট্রান্সফার ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতিতে Odesk সাইট থেকে বাংলাদেশে টাকা নিয়ে আসা যায়।
Earn by Data Entry (Microworker)
In this article you can know, how to earn money from Microworkers.com by simple data entry. Its very reliabe site where many people of Bangladesh & cash money from this site. Its so easy & small job. New freelancer can easily earn from this site.ফ্রিল্যান্সিং করে কাজ করার কথা আমরা অনেকেই শুনেছি কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে নতুন ফ্রিল্যান্সার হলে সফলতা পেতে কিছু সময় লাগে । কারণ, এসব সাইটে একটি কাজের জন্য অনেকেই বিড/আবেদন করেন। বায়ার শুধুমাত্র একজনকে নির্বাচিত করেন। এক্ষেত্রে নুতন ফ্রিল্যান্সারদের কাজ পেতে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়। অনেকে ধৈর্য হারিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ছেরে দেন। (অবশ্য সঠিক গাইডলাইন ও আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে এসব সাইটেও সফল হওয়া সম্ভব) অনেকেই আবার মনে মনে ভাবেন ইস, যদি বিড ছাড়াই কাজ পাওয়া যেত ! হ্যাঁ, আজকে আপনাদের সামনে এমনই একটি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বলব, যেখানে কাজ পেতে কোন বিড করতে হয় না। যে কোন মূহু্র্তে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। উপরোন্ত, উক্ত সাইটে সাইন আপ করলেই পাবেন ১ ডলার। সাইটটির নাম www.microworkers.com, এটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটি সাইট। বাংলাদেশের অনেকেই এ সাইটে সফলতার সাথে কাজ করে হাতে টাকা পেয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সাইটে কাজ করছি। সাইটে আমার বেশকিছু ডলারও জমা হয়েছে।
সাইটের কাজগুলো ছোট ছোট ও খুবই সহজ। ডাটা এন্ট্রি টাইপের কাজ। খুবই অল্প সময়ে আপনি উপার্জন করতে পারেন ভাল পরিমান কিছু অর্থ, যা আপনাকে লক্ষ লক্ষ টাকা এনে দিতে না পারলেও যারা নুতন ফ্রিল্যান্সার, এখনও কম্পিউটারের বিভিন্ন কোর্সে পরিপূর্ণ দক্ষ হতে পারেননি, তারা অনলাইন আয়ের জগতে কিছুটা পদচারণা শুরু করতে পারেন । আর এখানে মোটামুটি পরিশ্রম করলেই আপনার সফলতার সম্ভাবনা .........
নিয়মাবলী:
১. একটি কাজ মাত্র একবার করতে পারবেন, তবে প্রতিদিন পাবেন নতুন নতুন অনেক কাজ।
২. প্রতিটি কাজের সাথে দেয়া থাকবে নির্ধারিত সময়, যে সময়ের মধ্যেই আপনার কাজকে সমাপ্ত করতে হবে।
৩. প্রথমে ৫টি কাজ করে আপনার সফলতা যদি ৭৫% এর নিচে থাকে তবে আপনি ১-৩০ দিনের মধ্যে কাজ করতে পারবেন না।
৪. আয়ের পরিমান ৯ ডলার পূর্ন হলেই চেক, মানিবুকার্স, পেপাল এবং এলার্টপে এর মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। এক্ষেত্রে গুগল এ্যাডসেন্সের মত আপনার ঠিকানাকে প্রথমে ভেরিফাই করা হবে একটি পিন নম্বর পাঠানোর এর মাধ্যমে। যা পরবর্তীতে সাইটে জমা দিতে হবে।
৫. টাকা উত্তোলনের সময় চেকের ক্ষেত্রে ৪.৫০ ডলার, পেপালের ক্ষেত্রে ৬%, মানিবুকার্স এবং এলার্টপে পদ্ধতিতে ৬.৫% ফি দিতে হয়।
৬. সাইটে যে কাজ করবে সে Worker এবং যে কাজ দিবে তাকে Employer হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
৭. সাইটে কাজ করতে প্রথমে আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করে করতে হবে। ।
কার্যাবলী:
১. লগইন করে সাইটে প্রবেশ করুন।
২. যদি আপনি নতুন ইউজার হন তবে নিউ বাটনে ক্লিক করে নতুনদের জন্য নির্ধারিত কাজগুলো ওপেন করুন।
৩. কাজের বিস্তারিত বর্ননা দেখতে নিচের কাজগুলো থেকে যেকোন একটি কাজে ক্লিক করুন।
৪. এখানে পূর্বে কত জন কাজটি নিয়েছে, কাজটি করতে কত সময় লাগবে, কাজটি সফলভাবে করতে পারলে কত পরিশোধ করা হবে, ইত্যাদি সম্পর্কে শুরুর দিকে বলা হয়েছে।
৫. কিভাবে কাজটি করতে হবে এ সম্পর্কে পুরো ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে “What is expected from workers?” অংশে। মূলত এখানে কাজের বিস্তারিত বর্ননা করা হয়েছে, যা ভালভাবে বুঝে কাজটি সমাপ্ত করতে পারব এরকম মনে হলে “I accept this job ” নিচের অপশনে ক্লিক এর মাধ্যমে কাজটি নেয়া যাবে। “I accept this job” এখানে ক্লিক করলে একটি ঘর পাওয়া যাবে যেখান কাজের সত্যতার প্রমান সাবমিট করতে হবে। আর এই সত্যতার প্রমান দিতে হবে Employer এর ইচ্ছে অনুযায়ী, যেটি সে জানিয়ে দিয়েছে “Required proof that task was finished?” এই অংশে। কাজটি করতে পারব না এমন মনে হলে Not interested in this job ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।
কাজের ধরন:
১. Signup: এ কাজটি অত্যন্ত সহজ একটি কাজ। এখানে একটি সাইটের ঠিকানা দেয়া থাকবে সেখানে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। ব্যাস কাজ শেষ, তবে আমাদের দেশে বেশিরভাগ শেয়ারিং আইপি ব্যবহৃত হয় বলে কাজটি সমাপ্ত করতে সমস্যা হতে পারে। আপনার আইপি দেখে নিন।
২. Twitter: টুইটারে যদি আপনার একটি একাউন্ট থাকে তবে আপনি এক্ষেত্রে কাজ করতে পারবেন। হতে পারে আপনার টুইটার পেজে একটি রিভিউ লিখতে হবে । পাশাপাশি তাদের একটি লিংকও রিভিউ এর মধ্যে দিতে হতে পারে। তবে সবটাই নির্ভর করবে Employer এর চাহিদার ওপর।
৩. Blog/Website Owners: আপনার যদি একটি নিজস্ব ওয়েব সাইট থাকে এবং আপনি যদি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর article লেখার জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন তবে আপনি এ কাজটি খুব সহজেই করতে পারবেন। আর একটি ৫০ শব্দের আর্টিকেল লিখে পেতে পারেন $0.25 – $0.80 ডলার।
৪. Textlink required: এ কাজটি করতেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজস্ব ওয়েব সাইট দরকার হয়ে থাকে। তবে কাজটি অত্যন্ত সহজ। Employer এর চাহিদা অনুযায়ী আপনার সাইটে একটি লিংক ব্যবহার করলেই কাজ শেষ। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ Employer PR1 কিংবা তার ওপরে অবস্থানকৃত সাইট চায়। দেখে নিন আপনার সাইটের পেজ র্যাংক ।
৫. Yahoo Answers: ইয়াহু এর একটি সাইট হচ্ছে ইয়াহু এ্যান্সার। এখানে বিভিন্ন প্রশ্নের এ্যান্সার করে লেভেলকে বৃদ্ধি করা যায়। সাধারনত Employer এ কাজের জন্য লেভেল টু আছে এমন ব্যক্তিদের খোঁজ করে। এখানে প্রশ্নের answer এর মধ্যে Employer এর নির্দিষ্ট লিংক দিতে বলা হয়।
৬. Forums: এক্ষেত্রে একটি ফোরাম সাইট খুঁজে বের করতে হবে। তবে সাইটের বিষয়বস্তু অবশ্যই Employer বলে দিবে। এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে তাদের একটি লিংক Signature হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি কিছু কমেন্টও লিখতে হতে পারে।
পরামর্শ:
১. একটি কম্পিউউটার থেকে একটি একাউন্ট করাটাই ভাল।
২. কখনো ৫টি কাজে সফলতার হার ৭৫% এর নিচে নেমে গেলে দু-চার দিন অপেক্ষা করে আবার চেষ্টা করা যেতে পারে।
৩. যে সকল কাজে আইপি এড্রেস দিতে হয় বা এক আইপি থেকে দুবার ব্যবহার করা যাবে না সে সব কাজ না করাই ভাল যেমন: sign up। কারন, আমাদের দেশে টেলিকম এর মাধ্যমে ব্যবহৃত ইন্টারনেট এর আইপি শেয়ারিং করা হয়ে থাকে।
উপরের সকল বিষয়গুলো ভালভাবে বিবেচনা করে যদি কাজ শুরু করেন তবে অবশ্যই একটা ভাল ফলাফল পাবেন ইনশাল্লাহ।
Earn by Affiliate Marketing
In this article you can know how to earn money by Affiliate Marketing. I will tell you comprehensive guide about Affiliate Marketing. You can really earn a lot of money from internet by Affiliate Marketing.
এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পূর্ব প্রস্তুতি:
1. শুরুতেই নিজস্ব ডোমেইন কিংবা ফ্রি ডোমেইন এর মাধ্যমে একটি ব্লগ সাইট খুলে বিষয়ভিত্তিক আর্টিকেল পোষ্ট করতে থাকুন।
2. বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ভিজিটর সংগ্রহে এবং মোট ভিজিটরের পরিমান বৃদ্ধির জন্য ব্যাকলিংক তৈরি, মার্কেটিং, ফোরাম পোষ্টিং, কমেন্ট পোষ্টিং তথা Seo এর কাজগুলো বেশি বেশি করতে থাকুন।
কারণ ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য Seo এর কোন বিকল্প নেই।
কারণ ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য Seo এর কোন বিকল্প নেই।
3. নিয়মিত ভিজিটরের আপডেট দেখে দেখে নিত্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহন করুন।
4. যখন মনে করবেন আপনার ব্লগটি এখন বেশ জনপ্রিয় এবং ভিজিটরদের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়েছে তখন আপনি এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য পরিকল্পনা গ্রহন করুন। কেননা, সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে আপনার সাইটে বিদেশী ১০০০ ভিজিটর ঢুকলে হয়ত আপনার এ্যাফিলিয়েটকৃত পন্য বিক্রি হবে ১-১০ টি। তবে এটিও সত্য যে, ভালমানের একটি ব্লগ সাইটে প্রতিদিন হাজার হাজার ভিজিটর আনা কঠিন কিছু নয়।
কিভাবে আপনার ব্লগে যুক্ত করবেন Amazon.com এর পন্য:
2. সাইটের Make Money with Us অপশন থেকে এসোসিয়েট হিসেবে যোগদান করুন। এখানে একটি Id আপনার জন্য নির্দিষ্ট করা হবে, সে আইডিটি সংরক্ষনে রাখুন।
3. আপনার প্রদানকৃত সকল তথ্যের পর্যালোচনা শেষে ১-৩ কার্যদিবসের মধ্যে আপনাকে একটি মেইল পাঠানো হবে এবং স্পেশাল একটি পেজে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।
4. মূল পেজে প্রবেশের পরে Get started now বাটনে ক্লিক করে দেখে নিন সকল নিয়ম কানুনের আপডেট।
5. এবার এ সাইট থেকে প্রডাক্ট এর লিঙ্ক (এইচটিএমএল কোড) সংগ্রহ করে আপনার ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটে ব্যবহার করুন। এরপর যারাই আপনার প্রদত্ত লিঙ্ক থেকে পন্য সংগ্রহ করবে আপনি পাবেন মোট পন্যমূল্যের ১৫%।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন